![]() |
ব্রণ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় |
বয়ঃসন্ধি কালে সবথেকে বড় সমস্যা হলো ব্রণ। ব্রণ শুধু মেয়েদের হয় না, ছেলেদেরও কিন্তু সমান দেখা হয়। বয়ঃসন্ধিকালে বেশি দেখা যায় ব্রণ উপদ্রব। যদিও বয়স্ক অনেকের মধ্যে দেখা যায় কিন্তু ব্রণ। এই ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় কি -
ব্রণ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়:
1. পেট পরিষ্কার রাখার :
পেটটা পরিষ্কার থাকছে কিনা সেটা আগে খেয়াল রেখো। পেট যদি পরিষ্কার থাকে তাহলে, কিন্তু সব ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবু যে ঘরোয়া টোটকা গুলো আছে, সেগুলো ব্যবহার করো। অনেকে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ার, ক্রিম লাগায়, লোশান লাগাই, যাই লাগাবে না কেন, ঘরোয়া যে টোটকা গুলো আছে আদিকাল থেকে যেটা চলে আসছে সেগুলো যদি তোমরা ঠিকঠাক মত লাগাতে পারো তাহলে ব্রণ ও কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়।2. নিম পাতার বা নিম ফেশওয়াশ :
নিম পাতা একটু ফুটিয়ে, যদি একটা বোতলের মধ্যে ধরে রাখো ওই জলটা। নিমপাতা ফুটানো জলটা এবং সেটা অন্ততপক্ষে সকাল বিকেল একটু তুলো ভিজে জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে,মুখটা মুছতে পারো তাহলে তোমার ব্রণের উপদ্রব কিন্তু অনেকখানি কমে যাবে।যদি তাও না পারো তাহলে তোমাদের বাজারে চলতি নিম ফেসওয়াশ যেটা আছে, সেটা দিয়ে অর্থাৎ মুখটা দুবার চেষ্টা করো। এটাতেও কিন্তু খুব ভালোভাবে কাজ দেবে।3. মুলোর রস :
মুলো রস কিন্তু ব্রোনোর একদম চরম শত্রু। এটা শুধু ব্রোনো সারায়, তাই নয় এটা আমাদের চামড়ার যে শিথীলতায় ব্যাপারটা সেটাও কাটিয়ে দেয়।4. কস্তুরী হলুদ :
কস্তুরী হলুদ ব্রোনের জন্য অপরিসীম কাজ করে।কস্তুরী হলুদ বেশি পাওয়া না। বলিনি কারণ এটা অনেক সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু আজকাল অনলাইনে বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কস্তুরী হলুদটা পাওয়া যাচ্ছে ।5. কস্তুরী হলুদ,চন্দন গুঁড়ো ও পাতিলেবু :
কস্তুরী হলুদ একটু সামান্য পরিমাণে নিলে তার সঙ্গে একটু চন্দন গুঁড়ো নিয়ে অথবা চন্দন যদি তুমি বেটে নিতে পারো তাও চলবে। তারপর এক-দুই ফোটা পাতিলেবুর রস, তিনটেকে ভালো করে মিশিয়ে নিলে তারপর সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখলে যদি মনে হয় গোটা মুখে পেস্ট এর মত লাগাবে। এটা তোমাদের মুখের ত্বকও ভাল রাখবে । এটা কিন্তু ব্রণকে খুব ভালো করে।
6. দুচামচ মধু ও দারচিনির গুঁড়ো :
দু চামচ মধু আর তার সঙ্গে যদি একটু দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগাতে পারো। সেটাতেও বেশ কাজ দেবে। বেশ পরপর কয়েকদিন লাগালে তুমি আপনি টের পাবে। এমনকী লবঙ্গকে একটু পেস্ট করে নিয়ে যদি চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারো না রাত্রে বেলা শোবার সময় লাগে সকালবেলায় মুখটাকে ধুয়ে নিলে এটা কিন্তু অত্যধিক ভাল ফল দেবে।7. পেঁপে :
পেঁপে যেমন আমাদের ত্বকের জন্য অত্যাধিক ভালো।তার সঙ্গে সঙ্গে পেঁপে কিন্তু ব্রন ও কমাতে সাহায্য করে।8.কমলালেবুর খোসা :
কমলালেবুর খোসা সেটাও ব্রন ও কমাতে সাহায্য করে।9. শিমুল গাছের পাতায় :
শিমুল গাছের পাতায় যে কাটা থাকে সেটাকে একটু বেটে নিয়ে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তুমি লাগাতে পারো তাতে ব্রণের উপদ্রব অনেকখানি কমবে।আমি অনেকগুলো পদ্ধতি আমি তোমাদের বললাম সেগুলো কিছু হয়তো তুমি হাতের নাগালে ঘরের মধ্যেই পেয়ে যাবে আর কিছু হয়তো তোমাকে জোগাড় করতে হবে ।
0 comments:
Comment me.....