![]() |
আদার চায়ের উপকারিতা |
সব রান্নাতেই কিন্তু আদা ব্যবহার করা হয়| নিরামিষ বলো, আমিষ বলো কিংবা চাইনিস বা অন্যান্য দেশের রান্নাতেও আদার কিন্তু ব্যবহার হয়, আর এটা না দিলে রান্নার স্বাদটা ঠিকমত খোলেই না|আদা আমাদের কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটা রান্নাতেই ভীষণ ভাবে ব্যবহার হয়| এই আদার গুণ কতখানি, আদা চা বা আদার রস খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় সেটাই জানাবো|
বহু প্রাচীন কাল থেকেই কিন্তু ভেষজ ঔষধ হিসেবে আদার ব্যবহার চলে আসছে| আমরা নিয়মিত এই রান্নায় ব্যবহার করি কিংবা অনেক সময় কাঁচাও খেয়ে থাকি|
আদার চা বা আদার রস তৈরি:
আদা একটু থেঁতলে নিয়ে চিপে নিলেই কিন্তু আদার রস বেরিয়ে যাবে আর চা করে আদাকে একটু থেঁতলে নিয়ে যদি তুমি ফুটিয়ে নাও, তাহলে গরম আদার চা তৈরি হয়ে যাবে| মধু মিশিয়েও খেতে বা এমনিও খেতে পারো অথবা একটু লিকার চা মধ্যে দিয়ে খেতে পারো|পেট ব্যথা:
তাৎক্ষণিক পেট ব্যথা, হঠাৎ করে পেটে ভীষণ ব্যথা শুরু হয়ে গেল, সে ক্ষেত্রে যদি তোমরা আদার রস বা আদা চা খাও, তাহলে খুব ভালো কাজ করে, কারণ আদার মধ্যে আছে, বেদনা নাশক উপাদান, মানে ব্যথা কমানোর উপাদান থাকে| যার জন্য ব্যথা কিন্তু অনেকখানি কমে যায়| যদি তোমার খুব বাড়াবাড়ি হয় তাহলে তো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবে| কিন্তু একটু ব্যথা হচ্ছে সেক্ষেত্রে তোমরা আদা চা খেলে অনেকখানি কিন্তু উপশম হয়|
রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক:
রক্তসঞ্চালনকে ভালো করে এই আদার রস বা আদা চা| আমরা যদি নিয়মিত এই আদা চা খেতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের হাটের কোনো রকম রোগ দেখা দেবে না|আদার রস রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে|
তলপেটের ব্যথা:
মেয়েদের মাসিক বা ঋতুস্রাব হয়, তখন অনেক মেয়েদের তলপেটে ভীষণ ব্যথা হয়| তারা যদি নিয়মিত আধা চা খায়, তাহলে কিন্তু ব্যথাটা খুব-একটা হবে না| যদি পেটে ব্যথা একটু বেশী হয় তাহলে কিছুটা জল নিয়ে আদা একটু সেদ্ধ করে নেবে এবং একটা তোয়ালে নিয়ে সেই জলের মধ্যে চুবিয়ে চিপে নিয়ে গরম থাকা অবস্থাতেই তলপেটে একটু চেপে ধরবে, তাহলে অনেকখানি ব্যথার উপশম হয়|
বাতের ব্যথা ও ক্লান্ত বোধ :
বাতের ব্যথার ক্ষেত্রেও কিন্তু আদার রস বা আদা চা খুব উপকারী| জয়েন্ট-এর যেকোনো সমস্যা এই আদা চা খাওয়া খুব ভালো| যদি ধরো তোমরা খুব ক্লান্ত হয়ে গেছো, কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ভীষণ ক্লান্ত বোধ করছো তাহলে এক কাপ চায়ের সাথে আদা খেলে, কিন্তু নিজেদের ভীষণ শক্তিশালী লাগে|
মাইগ্রেনের সমস্যা :
অনেকেরই আছে যাদের মাইগ্রেনের সমস্যাতে ভীষণ ভোগে| প্রচুর মাথা যন্ত্রনা করে, তারা যদি আদা চা খায়, তাহলে খুব উপকার হয় কিংবা ধরো আদা একটু থেতলে একটু পেস্ট করে নিলে সেটা যদি কপালে লাগিয়ে রাখলে তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকখানি অবসন হয়|
![]() |
ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ |
ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ :
কোনরকম মুখের মধ্যে ইনফেকশন হয়েছে এবং মুখের মধ্যে ভীষণ একটা বাজে দুর্গন্ধ হয়েছে সে ক্ষেত্রে যদি একটু আদা খাওয়া যায় তাহলে সেটা খুব ভালো কাজ করে, কারণ আদা ব্যাকটেরিয়ারোধী হিসাবে কাজ করে| আদার মধ্যে যেহেতু বিরোধী প্রদাহজনক এবং এন্টিফাঙ্গাল গুণ আছে, সেজন্য আমাদের শরীরের ভিতরে যেকোনো ধরনের ঘা বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে|
হজমে সাহায্য :
আধা কিন্তু খুব ভালোভাবে হজমে সাহায্য করে, যদি ধরো তোমার একটু ভারী খাবার খাওয়া হয়ে গেলো| একটু পেটটা ভার লাগছে, সেক্ষেত্রে যদি কিছুটা আদার টুকরো খেয়ে তারপর জল খেয়ে নাও তাহলে দেখবে বেশ নিজেদেরকে হালকা লাগছে|
বমি কমাতে :
গাড়িতে উঠলে বমি পায়, তাদের ক্ষেত্রে বলছি আদার টুকরো রেখো| যদি একটা আদার টুকরো তার মধ্যে একটু পুদিনা পাতা বাটা, একটু বিট লবন আর একটু লেবু দিয়ে মাখিয়ে তুমি রেখে দিতে পারো, এবার গাড়িতে উঠলে যখন তোমার বমি বমি পাচ্ছে ওইটা যদি খেতে পারো না তাহলে কিছুতেই আর বমিটা হবে না|
কাশি ও ঠান্ডা কমাতে :
ঠান্ডা লাগলে আদা ভীষণ ভালো ভাবে কাজ করে| যদি খুব কাশি হয় বা ঠান্ডা লেগে যায় সেই সময় আদার রস একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারো| আদার রস বা আদা চা আমাদের শরীরে উপকার লাগে, সুস্থ রাখতে ভালো রাখতে আদার কিন্তু জুড়ি মেলা ভার| আদার চা বা আদার রস যদি নিয়মিত খেয়ে যাও না তাহলে ত্বকের মধ্যেও কিন্তু বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না, ত্বকের বলিরেখাকে কিন্তু রোধ করতে পারে|
সুস্থ থাকবে তার সঙ্গে সঙ্গে কাছের মানুষদের অনেক বেশি সুস্থ রেখো|
0 comments:
Comment me.....