ডাবের জলের ৫টি উপকারিতা ত্বকের ও চুলের যত্ন || 5 benefits of dab water skin and hair care

 3 benefits of dab water skin and hair care
 5 benefits of dab water skin and hair care
  
   প্রচন্ড গরম কাল, তাই বলে কি আমরা বাড়ির বাইরে বেরোবো না এটা তো হতেই পারে না| রোজই আমাদের বিভিন্ন কাজে বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়|  তবে সব সময় প্রচুর পরিমাণে জলটাকে বয়ে নিয়ে যেতে পারি না| যেটুকু জল নিয়ে যায় সেটুকু হয়তো শেষ হয়ে যায়| জল তেষ্টা পায়, তখন আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানীয়(coca cola, thums up) খেয়ে নিই| এটা কিন্তু একদম ঠিক না| সেই ঠান্ডা পানীয়-এর (coca cola, thums up) বদলে তোমরা খেতে শুরু করো ডাবের জল| 

ডাবের জল কেন খাবো ?

   ডাবের জল কেন খাবো, তার কারণ হলো- ঠান্ডা পানীয় (coca cola, thums up) তো আমাদের শরীরে সত্যি ভীষণ ভাবে ক্ষতি করে, সেই একই টাকাতে আমরা যদি একটা ডাবের জল খেতে পারি তাহলে, সেটা আমাদের শরীরে যেমন ভালো করবে, তার সঙ্গে আমাদের চুল ও ত্বকেরও কিন্তু খেয়াল রাখবে|

ত্বক ও চুলের যত্ন:

   ডাব কিন্তু আমাদের শরীরে অনেকখানি উপকার করে| শুধু শরীরের ভিতরে বলবো না তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক চুল বলো, সেটাও কিন্তু সমান ভাবে উপকার করে| একটা ডাবের জল যদি নিয়মিত আমরা খেতে পারি, তাহলে আমাদের হৃদয় কিন্তু ভীষণ ভাবে ভালো থাকে| হার্টঅ্যাটাকে সম্ভাবনা কিন্তু অনেকখানি কম হবে| যদি একজন মানুষ প্রতিদিন একটা করে ডাব খেতে পারে তাহলে কোলেস্টলের মাত্রাটা অনেকখানি কমে যায়|

3 benefits of dab water skin and hair care
ডাবের জলের উপকারিতা 


ডাবের জলের উপকারিতা :

   যারা রক্তচাপ-এ ভুগছে, তারা যদি রোজ একটা করে ডাবের জল খেতে পারো, তাহলে কিন্তু তাদের এই নিম্ন রক্তচাপ এর সমস্যা থেকে বাঁচবে| শুধু নিম্ন রক্তচাপ বলবো কেন যারা উচ্চ রক্তচাপ-এ ভোগে, তারাও যদি ডাবের জল খায়, তাহলে কিন্তু তারাও ভীষণ উপকৃত হবে| 

   কিডনির সমস্যা থেকেও রক্ষা করতে পারে, ডাবের জল নিয়মিত যদি খেতে পারো তাহলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকেও কিন্তু বাঁচতে পারে| কিডনিতে পাথর হলে তো শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়, সেই সমস্যা থেকেও কিন্তু রক্ষা পাবে| ডাবের জল কিন্তু বিপাক টাকেও ঠিক সাহায্য করে| শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি হয়ে যায়, এত ক্যালরি তো ঠিক নয়, তাই এই ডাবের জল যদি নিয়মিত পান করো তাহলে কিন্তু বিপাক এর যে হারটা এটা কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকে|

ওজন কমাতে :

   ডাবের জল আমাদের ওজন কমাতে ভীষণ সাহায্য করে| ডাবের জল খেলে ওজনটা কিন্তু চট করে বাড়বে না, ওজনটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে| ডাবের মধ্যে যেহেতু ফাইবার থাকে, তাই হজমে কিন্তু ভীষণ ভাবে সাহায্য করে| যারা ডায়বেটিস রোগী তারা মিষ্টি বলেই মানে ডাবের জলটা যেহেতু একটু মিষ্টি হয়, তাই খেতে ভয় পায়| কিন্তু এটা সম্পূর্ণ রূপে সুগার ছাড়া, তাই ডায়বেটিস রোগীরা কিন্তু অনায়াসে খেতে পারো|

দেহে লবন ও জল নিয়ন্ত্রণ :

   পানিশূন্যতা হয়েছে, সেটাও কিন্তু ডাবের জল রক্ষা করে| ডাবের জল আমাদের শরীর থেকে যে জল এবং নবন বেরিয়ে যায় সেটাকেও কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে| শরীরের ভিতরেতো করে তার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু শরীরের বাইরে চুলও কিন্তু ভালো করে| ত্বকের যদি যেকোনো কালো কালো ছোপ ছোপ যদি দাগ হয়ে যায়, তো ডাবের জল যদি আমরা মাকতে পারি তাহলে সেই দাগটা কিন্তু বেশ খানিকটা চলে যায়| নিজেদের তো ভালো লাগবে নিজের কাছের মানুষদের ভীষণ ভালো লাগবে আর এই গরমে সকলে ভীষণ ভাবে সুস্থ থাকবে
read more →

কাঁচা ছোলার কি কি উপকারিতা আছে | কাঁচা ছোলার উপকারিতা | Benefits of Chickpea

Benefits of Chickpea
কাঁচা ছোলার উপকারিতা

কাঁচা ছোলার কি কি উপকারিতা আছে :


   কাঁচা ছোলা আমরা শুধু যে কাঁচা খাই তা নয়, ছোলা আমরা সেদ্ধ করেও খাই| ছোলার তরকারি করেই খাই| যে যেভাবেই খাও না কেন ?, কাঁচা ছোলাটা কিন্তু সব থেকে বেশি উপকারী| এই ছোলার মধ্যে যেমন প্রোটিন থাকে, সেরকম কার্বোহাইড্রেট থাকে, ফ্যাট থাকে, ভিটামিন থাকে, ক্যালসিয়াম থাকে, ম্যাগনেসিয়াম থাকে, ফসফরাস থাকে এবং মিনারেলস থাকে| 

   কাঁচা ছোলা এনার্জি, শক্তি বাড়ায়| যারা মোটা হতে চান, পরিপাক -এর কোনো সমস্যা, তারা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন| শরীরে জমা থাকা পায়খানা গুলো জমা থাকে, তখন বিভিন্ন রোগ হয় তার মানে ক্যান্সার-এর সমস্যা| কাঁচা ছোলা যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে|

   কাঁচা ছোলায় যে ক্যালোরি থাকে| সেটা কিন্তু আমাদের শরীরে অনেকখানি শরীরটাকে মজবুত করতে সাহায্য করে| সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা ছোলা খান, ছোলায় ক্যালসিয়াম থাকে যা বোন অপরিসীম|


কাঁচা ছোলার কি কি উপকারিতা আছে | কাঁচা ছোলার উপকারিতা |  Benefits of Chickpea
কাঁচা ছোলার কি কি উপকারিতা আছে 


কাঁচা ছোলার উপকারিতা :


   শরীরের যে জীবাণু থাকে সেটাকে ধ্বংস করে, ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে| ছোলাতে কিন্তু ফাইবার থাকে, যার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে| ছোলা কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কোন চান্সই থাকে না| ছোলার মধ্যে অ্যাসিড থাকার জন্য উচ্চ রক্তচাপ কেও নিয়ন্ত্রণ করে|হার্টের সমস্যা অনেকখানি কমে কারণ ছোলা আমাদের রক্তে চর্বি জমতে দেয় না| কাঁচা ছোলা আর কাঁচা আদা যদি তোমরা একসঙ্গে খেতে পারো তাহলে কিন্তু আমাদের শরীরে প্রোটিন এর অভাব পূরণ হবে| প্রোটিন আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যবান এবং শক্তিশালী করবে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে| 

খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা :


   সকালবেলায় একটু হালকা মধ্য দিয়ে কাঁচা ছোলা খেয়ে পারেন| কাঁচা ছোলা সেদ্ধ করেও খেয়ে পারেন| কাঁচাও খেতে পারবেন, কিন্তু প্রথম অবস্থায় কাচা খেলে দেখা যায় প্রচুর গ্যাস হয়| যখন গ্যাস হবে আপনার অস্বস্তি লাগবে, পায়খানা একটু নরম হয়ে যেতে পারে, কিন্তু সেদ্ধ করে নিলে এই গ্যাস হওয়ার প্রবণতা থেকে দূর হয়| প্রথম অবস্থায় অল্প অল্প করে খেতে খেতে আপনার চাহিদা মতো আপনি বাড়াবেন|

   ছোট্ট ছোট্ট দানা কাঁচা ছোলা কতখানি উপকারে লাগতে পারে আমাদের তাই আজ থেকেই শুরু করে দাও, ছোলা খাওয়া অবশ্যই খুব ভালো হয়| সকালবেলায় গুড় দিয়ে কাঁচা ছোলা তোমরা খেতে পারো|

read more →

মধু কেন খাবেন ? | মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা | Benefits and Disadvantages of Honey

মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা


মধু কেন খাবেন ?


  অনেক উপকার আছে মধুতে| মধু খুব ভালো একটি শক্তি প্রদান পানীয়| আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করে| কিন্তু আমাদের ওজন বাড়ায় না, কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়ায়| মধুর সাথে কার্বোহাইড্রেড একটা বিষয় আছে, কিন্তু ওজন বাড়ায় না| 

বাসি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা:  


  এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে যদি আমি মধু মিশিয়ে পান করি খাই, তাহলে কিন্তু আমার ওজন আরো কমবে| মধু ডাইজেস্ট এর জন্য খুব ভালো কাজ করে| যাদের পেটের সমস্যা হয় অ্যাসিড-এর, তারা মধু ওষুধের মতো ব্যবহার করতে পারেন| চর্ম রোগের জন্য কিন্তু মধু কাজ করে, internal ও external দুইটি ব্যবহার করা যায়| মধু সেই হাজার বছর ধরে ঐতিহ্যগত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে| 

  বাচ্চা হওয়ার পর, যে মায়েরা দুধ হয় না মধু তাদের জন্য ভালো কাজ করে|সকালে গরম পানির সাথে মেশাবেন না, তখন ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে মধু খান| 

রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার :


  মধু antiseptic loose motion sensor এবং মুখের ক্রিম গুলোতে ব্যবহার করা হয়| মধু কিন্তু কেটে গেছে লাগাই না, পুড়ে গেছে মধু লাগিয়ে দেন| থেঁতলে গেলে মধু লাগায়| মধু খেলে sex বাড়ে| মধুতে তো আরো অনেক উপকার আছে, সেই জন্য সাধারণত পাঁচ বছর বয়স থেকেই মধু বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়| মধু দুইবার করে প্রতিদিন সকালবেলা এক গ্লাস পানিতে মধু দিয়ে খেতে পারেন, স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো কাজ করে| মধু খাওয়ার কথা আমরা এতক্ষণ বললাম, কিন্তু মধু রূপচর্চা খুব ভালো কাজ করে |ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে| যাদের ব্রণ আছে তারা মধু লাগান কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার করে ফেলুন খুব ভালো কাজ করবে| 

মধু সেবনের  আশ্চর্য উপকারিতা :

  স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে| বাচ্চাদের সব রোগে মধু কালো জিরা ব্যবহার করতে পারব, কিন্তু সতর্ক থাকবো ডায়বেটিস রোগীরা অবশ্যই মধু খাবো না কারণ, এখানে যে চিনিটা আছে সেটা সমস্যা করবে|

  ডায়বেটিস ছাড়া সবার জন্য মধু ও কালো-জিরা আমরা দুটি জিনিসকে সবসময় রাখতে পারি| ভিটামিন হিসেবে রাখতে পারি, ওষুধ হিসেবে রাখতে পারি|



read more →

আদার রস ও আদার চায়ের উপকারিতা | Benefits of Ginger

আদার রস ও আদার চায়ের উপকারিতা | Benefits of Ginger
আদার চায়ের উপকারিতা

  সব রান্নাতেই কিন্তু আদা ব্যবহার করা হয়| নিরামিষ বলো, আমিষ বলো কিংবা চাইনিস বা অন্যান্য দেশের রান্নাতেও আদার কিন্তু ব্যবহার হয়, আর এটা না দিলে রান্নার স্বাদটা ঠিকমত খোলেই না|আদা আমাদের কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটা রান্নাতেই ভীষণ ভাবে ব্যবহার হয়| এই আদার গুণ কতখানি, আদা চা বা আদার রস খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় সেটাই জানাবো|

  বহু প্রাচীন কাল থেকেই কিন্তু ভেষজ ঔষধ হিসেবে আদার ব্যবহার চলে আসছে| আমরা নিয়মিত এই রান্নায় ব্যবহার করি কিংবা অনেক সময় কাঁচাও খেয়ে থাকি|


আদার চা বা আদার রস তৈরি:

  আদা একটু থেঁতলে নিয়ে চিপে নিলেই কিন্তু আদার রস বেরিয়ে যাবে আর চা করে আদাকে একটু থেঁতলে নিয়ে যদি তুমি ফুটিয়ে নাও, তাহলে গরম আদার চা তৈরি হয়ে যাবে| মধু মিশিয়েও খেতে বা এমনিও খেতে পারো অথবা একটু লিকার চা মধ্যে দিয়ে খেতে পারো| 


পেট ব্যথা:

  তাৎক্ষণিক পেট ব্যথা, হঠাৎ করে পেটে ভীষণ ব্যথা শুরু হয়ে গেল, সে ক্ষেত্রে যদি তোমরা আদার রস বা আদা চা খাও, তাহলে খুব ভালো কাজ করে, কারণ আদার মধ্যে আছে, বেদনা নাশক উপাদান, মানে ব্যথা কমানোর উপাদান থাকে| যার জন্য ব্যথা কিন্তু অনেকখানি কমে যায়| যদি তোমার খুব বাড়াবাড়ি হয় তাহলে তো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবে| কিন্তু একটু ব্যথা হচ্ছে সেক্ষেত্রে তোমরা আদা চা খেলে অনেকখানি কিন্তু উপশম হয়|

রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক:

  রক্তসঞ্চালনকে ভালো করে এই আদার রস বা আদা চা| আমরা যদি নিয়মিত এই আদা চা খেতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের হাটের কোনো রকম রোগ দেখা দেবে না|আদার রস রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে|

তলপেটের ব্যথা:

  মেয়েদের মাসিক বা ঋতুস্রাব হয়, তখন অনেক মেয়েদের তলপেটে ভীষণ ব্যথা হয়| তারা যদি নিয়মিত আধা চা খায়, তাহলে কিন্তু ব্যথাটা খুব-একটা হবে না| যদি পেটে ব্যথা একটু বেশী হয় তাহলে কিছুটা জল নিয়ে আদা একটু সেদ্ধ করে নেবে এবং একটা তোয়ালে নিয়ে সেই জলের মধ্যে চুবিয়ে চিপে নিয়ে গরম থাকা অবস্থাতেই তলপেটে একটু চেপে ধরবে, তাহলে অনেকখানি ব্যথার উপশম হয়|

বাতের ব্যথা ও ক্লান্ত বোধ :

  বাতের ব্যথার ক্ষেত্রেও কিন্তু আদার রস বা আদা চা খুব উপকারী| জয়েন্ট-এর যেকোনো সমস্যা এই আদা চা খাওয়া খুব ভালো| যদি ধরো তোমরা খুব ক্লান্ত হয়ে গেছো, কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ভীষণ ক্লান্ত বোধ করছো তাহলে এক কাপ চায়ের সাথে আদা খেলে, কিন্তু নিজেদের ভীষণ শক্তিশালী লাগে|

মাইগ্রেনের সমস্যা : 

  অনেকেরই আছে যাদের মাইগ্রেনের সমস্যাতে ভীষণ ভোগে| প্রচুর মাথা যন্ত্রনা করে, তারা যদি আদা চা খায়, তাহলে খুব উপকার হয় কিংবা ধরো আদা একটু থেতলে একটু পেস্ট করে নিলে সেটা যদি কপালে লাগিয়ে রাখলে তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকখানি অবসন হয়|

ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ
ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ


ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ :

  কোনরকম মুখের মধ্যে ইনফেকশন হয়েছে এবং মুখের মধ্যে ভীষণ একটা বাজে দুর্গন্ধ হয়েছে সে ক্ষেত্রে যদি একটু আদা খাওয়া যায় তাহলে সেটা খুব ভালো কাজ করে, কারণ আদা ব্যাকটেরিয়ারোধী হিসাবে কাজ করে| আদার মধ্যে যেহেতু বিরোধী প্রদাহজনক এবং এন্টিফাঙ্গাল গুণ আছে, সেজন্য আমাদের শরীরের ভিতরে যেকোনো ধরনের ঘা বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে|

হজমে সাহায্য :

  আধা কিন্তু খুব ভালোভাবে হজমে সাহায্য করে, যদি ধরো তোমার একটু ভারী খাবার খাওয়া হয়ে গেলো| একটু পেটটা ভার লাগছে, সেক্ষেত্রে যদি কিছুটা আদার টুকরো খেয়ে  তারপর জল খেয়ে নাও তাহলে দেখবে বেশ নিজেদেরকে হালকা লাগছে|  

বমি কমাতে :

  গাড়িতে উঠলে বমি পায়, তাদের ক্ষেত্রে বলছি আদার টুকরো রেখো| যদি একটা  আদার টুকরো তার মধ্যে একটু পুদিনা পাতা বাটা, একটু বিট লবন আর একটু লেবু দিয়ে মাখিয়ে তুমি রেখে দিতে পারো, এবার গাড়িতে উঠলে যখন তোমার বমি বমি পাচ্ছে ওইটা যদি খেতে পারো না তাহলে কিছুতেই আর বমিটা হবে না|

কাশি ও ঠান্ডা কমাতে :

  ঠান্ডা লাগলে আদা ভীষণ ভালো ভাবে কাজ করে| যদি খুব কাশি হয় বা ঠান্ডা লেগে যায় সেই সময় আদার রস একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারো| আদার রস বা আদা চা আমাদের শরীরে উপকার লাগে, সুস্থ রাখতে ভালো রাখতে আদার কিন্তু জুড়ি মেলা ভার| আদার চা বা আদার রস যদি নিয়মিত খেয়ে যাও না তাহলে ত্বকের মধ্যেও কিন্তু বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না, ত্বকের বলিরেখাকে কিন্তু রোধ করতে পারে|


 সুস্থ থাকবে তার সঙ্গে সঙ্গে কাছের মানুষদের অনেক বেশি সুস্থ রেখো|
read more →

কিডনির পরিচর্যা, কিডনি সুস্থ রাখার সহজ উপায় | Taking care of the kidneys is an easy way to keep the kidneys healthy



 কিডনির পরিচর্যা, কিডনি সুস্থ রাখার সহজ উপায়

 কিডনির পরিচর্যা,কিডনি সুস্থ রাখার সহজ উপায়:

     কিডনি শরীরের ছাকন যন্ত্র কাজ করে। কিন্তু খাদ্যের সাথে আসা এবং খাদ্যের উচ্ছিষ্ট বিষাক্ত পদার্থগুলো কিডনিকে আক্রান্ত এবং তার কাজকে ব্যাহত করে।



     এতে নানা ধরনের সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। কিডনি আক্রান্ত হলে তার কিছু কিছু লক্ষণ বাহ্যিকভাবে প্রকাশ পায় যেমন, বমি বমি ভাব হয়, হাত, পা ও মুখ ফুলে যায়, ত্বক বিবর্ণ হয়, ফুসকুড়ি সহ বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দেয় ও বদ হজম হয়, তাই কিডনি যাতে পরিষ্কার থাকে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরী।

     কিডনি পরিষ্কারের জন্য বিশেষজ্ঞরা, একটি পানীয় পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই পানীয়টি বানাতে লাগবে এক টুকরো আদা, একি আপেল ও একটি লেবুর রস। পরে একে ভালো করে চিপে বা ফেকে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে।প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে এই পান নিয়মিত চার পাঁচ সপ্তাহ পান করলে কিডনিতে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ সব দূর হয়ে যাবে। এমনকি কিডনিতে পাথর জমতে থাকলেও তা কমে বা গলে বের হয়ে যাবে। তবে কিডনিতে যদি কোন জটিল রোগ থাকে তাহলে পানি পান করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।




read more →

কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের উপকারিতা । সর্ব রোগের মহৌষধ কালোজিরার তেল



কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের উপকারিতা । সবরোগের মহৌষধ কালোজিরার তেল


   সবরোগের মহৌষধ কালোজিরার তেল: 

    কালোজিরা আমাদের সবারই পরিচিত। খাবারে একটু ভিন্ন স্বাদ আনতে, কালোজিরার তুলনা নেই। কিন্তু কালোজিরার ব্যবহার শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সীমাবদ্ধ নয়। এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ।প্রাচীনকাল থেকেই প্রায় সব ধরনের সভ্যতা এর ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    কালো জিরার বীজ থেকে তৈরি হয় কালোজিরা তেল। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।


   কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের উপকারিতা: 

    ১) কালোজিরা ব্যবহার করলে, নিশ্চয়ই সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে নিহিত রয়েছে। শুধুমাত্র মৃত্যু ছাড়া। কালোজিরার তেল-এ 100 টিরও বেশি উপকারী উপাদান আছে। এর মধ্যে প্রায় 21 শতাংশ আমিষ, 38 শতাংশ শর্করা এবং 35 শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। এটি নিয়মিত সেবনে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়।

    ২) 1চা চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস অথবা 1চা চায়ের সাথে, 1চা চামচ কালো জিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে, দুশ্চিন্তা দূর হয় এবং মেধা বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ ভাবে।


    ৩) 1চা চামচ কালোজিরা সঙ্গে 3চা চামচ মধু ও 2 চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে 3-4 দিন খেলে জ্বর ব্যথা সর্দি কাশি দূর হয়।

    ৪) বাতের ব্যথায় আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কালোজিরা পালিশ করলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    ৫) যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় তারা কালোজিরার ভর্তা রাখতে পারেন।

    ৬) নিয়মিত কালোজিরা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এ সকল উপকারী ছাড়া ও কালোজিরার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে প্রায়, সকল প্রকার শারীরিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক কথায় বলা গেলে কালোজিরার গুনাগুন যা বলে শেষ করা যাবে না।

read more →

আমলকি খেলে কি হয় ? । আমলকির উপকারিতা | What happens when you play Amalkhi?



আমলকি খেলে কি হয় ? । আমলকির উপকারিতা

    আমলকি খেলে কি হয় ?


    আমলকী এক ধরনের ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম আমালিকা । একজন মানুষ যদি প্রতিদিন 6.5 গ্রাম আমলকি খান। তবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি থাকতে পারবেন। আমলকির রস মধু দিয়ে খেলে চোখের বিভিন্ন ধরনের অসুখ ভালো হয়ে যায়। যেমন, -

  ১)  কনজাংটিভা, অগ্নাশয়ের ক্ষত সারাতে আমলকি বেশ কার্য।


  ২) এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। কিডনির রোগ সারাতে সাহায্য করে।

  ৩) আমলকি বিভিন্ন ধরনের লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি জন্ডিস ভালো করতেও বেশ উপকারী।

  ৪) রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আমলকি খেতে পারেন। এটি সানস্ট্রোক থেকেও রক্ষা করবে আপনাকে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা এটি বেশ উপকারী। দীর্ঘমেয়াদী সর্দি কাশি থেকে রক্ষা পেতে আমলকি বেশ উপকারী।

  ৫) মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে ও এটি খাওয়া যেতে পারে।

read more →

শ্বাসকষ্টে ইনহেলারের সঙ্গে স্পেসার ব্যবহারের নিয়ম ও পদ্ধতি | Rules and procedures for the use of spacers with inhaled inhalers



শ্বাসকষ্টে ইনহেলারের সঙ্গে স্পেসার ব্যবহারের নিয়ম ও পদ্ধতি

     স্পেসার ব্যবহারের নিয়ম ও পদ্ধতি


শ্বাসকষ্টে ইনহেলারের সঙ্গে স্পেসার ব্যবহারের নিয়ম ও পদ্ধতি :

    
     শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় হাঁপানি রোগীদের কষ্ট। এসময় হাঁপানি রোগীরা নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কিন্তু ইনহেলার ব্যবহারের সময় অনেকেই স্পেশাল ব্যবহার করেন না। স্পেশাল মূলত, প্লাস্টিকের তৈরি নল বা বোতলের মতো, যা একটি চেম্বার বা ইনহেলার গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই স্পেশাল এর এক মাথায় থাকে মাউথ পিস মাস্ক বা মুুুুখোস এবং একটি ভালব বা সুইচ। এই ভালব বা সুইচ শ্বাস নেওয়ার সময় খুলে যায় এবং এর ভেতর দিয়ে বাতাস ও ওষুধ গ্রহণের সময় প্রবেশ করে। শ্বাস ফেলার সময় এই ভালবটি বন্ধ হয়ে যায়।


শ্বাসকষ্টে ইনহেলারের সঙ্গে স্পেসার ব্যবহারের নিয়ম ও পদ্ধতি


ইনহেলারের সঙ্গে স্পেসার ব্যবহার পদ্ধতি:


            
     স্পেসার ব্যবহারের আগে অবশ্যই ইনহেলারটি ঝাঁকিয়ে নিন। তারপর ইনহেলারটি স্পেসারের ছিদ্র-এ লাগান। এবার ইনহেলারে জোরে চাপ দিন। চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনহেলার এর ওষুধ স্পেসারে প্রবেশ করবে। এরপর স্পেশাল এর মাউথ পিস এ মুখ লাগিয়ে ওষুধ শ্বাসের সঙ্গে নিন। আগে শ্বাস ফেলে দিয়ে, ধীরে ধীরে লম্বা শ্বাস নিয়ে, স্পেসারে রক্ষিত ঔষধ ফুসফুসে গ্রহণ করতে হবে। স্পেশাল এর ভেতরে 5 থেকে 10 সেকেন্ড ওষুধ ভাসমান অবস্থায় রক্ষিত থাকার কারণে একই সময়ে শ্বাস নেওয়া ও ইনহেলারের ক্যানিস্ট- এ চাপ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

     ইনহেলারের ক্যানিস্ট- এ শ্বাস নেওয়ার পর 5 থেকে সময় পাওয়া যায়। শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ার কারণে শ্বাস নিতে না পারলে আর চেষ্টা করা দরকার নেই। আপনি স্পেশারের মাউথপিসে মুখ লাগিয়ে শ্বাস নিতে থাকুন ও ফেলতে থাকুন এবং সুবিধামতো সময়ে ইনহেলারের ক্যনিস্ট-এর চাপ দিন। তারপর অন্তত পাঁচবার স্পপেসার থেকে শ্বাস নিন এবং ফেলুন 



     শুধু ইনহেলার ব্যবহার করার চেয়ে স্পিকারের মাধ্যমে ইনহেলার ব্যবহার করলে ওষুধ ফুসফুসের ভেতর যায় প্রায় দ্বিগুণ। ফলে ইনহেলার এর কার্যকারিতা বাড়ে অনেক বেশি। শিশুদের স্পেসার ব্যবহার করা উচিত।

     স্পেসার ছাড়া এরা ঠিক মত টানতে পারে না বলে খুব কম পরিমাণ কার্যকরীতা পায়। আবার শ্বাসের মাধ্যমে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিলে মুখে বা গলায় ক্যানডিডা নামক ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। প্রকার গলার স্বর মোটা হয়ে যায়, এসব ক্ষতির আশঙ্কা থেকে বাঁচার জন্য স্পেশাল ব্যবহার বিকল্প নেই বললেই চলে।




read more →

Featured Post

ডাবের জলের ৫টি উপকারিতা ত্বকের ও চুলের যত্ন || 5 benefits of dab water skin and hair care

 5 benefits of dab water skin and hair care       প্রচন্ড গরম কাল, তাই বলে কি আমরা বাড়ির বাইরে বেরোবো না এটা তো হতেই পারে না| রোজই আ...